বাংলাদেশে প্রথমবার রিওভাইরাস শনাক্ত: লক্ষণ, মারাত্মকতা ও প্রতিরোধের উপায়
দেশে প্রথমবার রিওভাইরাস শনাক্ত: কতটা মারাত্মক এটি?
তারিখ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫
করোনা, এমপক্স এবং এইচএমপি ভাইরাসের পর, এখন দেশে নতুন ভাইরাস হিসেবে রিওভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। সম্প্রতি, দেশে পাঁচজনের শরীরে এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে, যা উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
রিওভাইরাসের লক্ষণ ও উপসর্গ
রিওভাইরাস সাধারণত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায় এবং এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা
- জ্বর ও মাথাব্যথা
- বমি ও ডায়রিয়া
- মারাত্মক ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া ও মস্তিষ্কের প্রদাহ (এনকেফালাইটিস)
শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা বেশি আক্রান্ত হয়, তবে সঠিক চিকিৎসা দিলে সাধারণত এটি মারাত্মক হয় না।
কতটা মারাত্মক রিওভাইরাস?
এই ভাইরাস নিয়ে চিকিৎসকরা আপাতত উদ্বিগ্ন নয়, কারণ আক্রান্তদের শরীরে তেমন কোনো গুরুতর জটিলতা ধরা পড়েনি। তবে, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা এবং মস্তিষ্কের প্রদাহের মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে, যা শিশু এবং বয়স্কদের জন্য জীবনহানি ঘটাতে পারে যদি যথাযথ চিকিৎসা না হয়।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, 'এই ভাইরাস সংক্রমণ কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে, তবে সাধারণত রিওভাইরাস মারাত্মক নয়।'
রিওভাইরাসের প্রতিরোধ কীভাবে করবেন?
রিওভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কিছু সাধারণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, যেমন:
- রিওভাইরাস ভ্যাকসিন (বিশেষ করে শিশুদের জন্য)
- হাত ধোয়া এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
- মাস্ক ব্যবহার এবং খাবারের সুরক্ষা
উল্লেখ্য, রিওভাইরাস কোনো নতুন রোগ নয়; এটি প্রথমবার ১৯৫০ সালে শনাক্ত হয়েছিল। শীতকালে এর প্রাদুর্ভাব বেশি হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশে এটি প্রথমবারের মতো পাওয়া গেছে।