আড্ডা-গল্পে জমে ওঠে অ্যাসেড স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলনী
আড্ডা-গল্পে জমে ওঠে অ্যাসেড স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলনী
"রিকানেক্ট এন্ড রিলিভ দ্যা মেমোরিস"—এই স্লোগানকে সামনে রেখে অ্যাসেড স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলনী ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয় সাভার সেবাকুঞ্জ পার্টি সেন্টারে।
২০০২ সালে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরুর পর প্রথমবারের মতো এমন অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস একটু বেশিই ছিল। স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে অনেকেই ফিরে যান স্কুলজীবনে। পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও চেয়ারম্যান মোঃ নুরুজ্জামান তালুকদার এবং সভাপতিত্ব করেন বর্তমান অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদুল হক। উদ্বোধন শেষে স্মৃতিচারণা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যাফল ড্র, কনসার্টসহ নানা আয়োজনে সাজানো হয় পুরো অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক মোঃ মাহফুজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমএম খায়রুল বাশার, সাবেক প্রেসিডেন্ট (বিএসটিকিউএম); মোঃ তৌহিদ হোসেন, অধ্যক্ষ, সাভার মডেল কলেজ; এ. কে. এম ফজলুল হক, পরিচালক, অ্যাসেড স্কুল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মোঃ আব্দুর রহীম, প্রধান শিক্ষক, চাপাইন নিউ মডেল হাই স্কুল।
অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষকদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এ সময় স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মোঃ নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন,"তোমাদের সবার অবদান এবং ভালো ফলাফলের জন্যই আজ অ্যাসেড স্কুল দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং আজকের এই দিন টি অ্যাসেড স্কুলের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।"
প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র শিক্ষক মোঃ মাহবুবুল আলম বলেন,"অনেক পরিশ্রমের পর আমরা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। এমন আয়োজন প্রতিবছর হওয়া উচিত।" স্মৃতিচারণা পর্বে অংশ নেন অ্যাসেড স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী কেয়া পায়েল। তিনি বলেন, "কর্মজীবনের সব স্মৃতি হয়তো ভুলে যাওয়া যায়, কিন্তু ছাত্রজীবনের বন্ধুদের কখনোই ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সেই সোনালি দিনগুলো স্মরণ করতে আমাদের এ পুনর্মিলন।"
স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ শোভন বলেন,"এই পুনর্মিলনীর মাধ্যমে আমরা আমাদের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম। প্রতিবছর এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই। একই সঙ্গে, এই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে আমরা প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করব। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।"
আনন্দ, স্মৃতিচারণ, এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই পুনর্মিলনী প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন করে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও পুনর্মিলনীর দ্বার উন্মুক্ত করবে।